মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্সের অ্যানিমেল (বানরের ওপর) ট্রায়াল অক্টোবর মাসের মাঝামাঝিতে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এর বিস্তারিত প্রতিবেদন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর বিএমআরসি অনুমোদন দিলে আগামী নভেম্বরের শুরুতে মানবদেহে এ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করার চিন্তা করছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমরা প্রথমে বানরে টিকার ট্রায়ালের জন্য বিদেশে চেষ্টা করেছি। ভারত বলছে জিটুজি পদ্ধতিতে আবেদন করার জন্য, তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দিয়েছি এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। কিন্তু কোনো আশানুরূপ রেজাল্ট পাইনি। তবে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো বলছে, এমআরএনএ টিকার বানরে ওপর পরীক্ষার দরকার নাই। কিন্তু বিএমআরসি বলছে করা লাগবে। তাই বাধ্য হয়ে আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুসরণ করে বন বিভাগের অনুমোদন নিয়ে বানর সংগ্রহ করেছি। ১ আগস্ট থেকে বানরের ওপর ট্রায়াল শুরু হয়েছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি এ ট্রায়াল শেষ হবে। আগামী মাসের (অক্টোবর) মধ্যেই বিএমআরসিকে রিপোর্ট জমা দিতে পারবো বলে আশা করছি।”
ট্রায়াল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রাথমিক ফলাফলে ওই টিকাটি বানরে নিরাপদ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এরপর যদি বিএমআরসি অনুমোদন দেয়, তাহলে নভেম্বরের শুরুতে আমরা মানবদেহে ট্রায়ালে যেতে পারবো।”
বঙ্গভ্যাক্সের কার্যকারিতা প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টসহ বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১১টি ভ্যারিয়েন্টে বিষয়ে জানা গেছে। এই ১১টি ভ্যারিয়েন্টের সিকোয়েন্স অ্যানালাইজ করে আমাদের ভ্যাকসিনের সিকোয়েন্স মিলিয়ে দেখেছি, প্রতিটি ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে বঙ্গভ্যাক্স কার্যকর।
তিনি বলেন, আশার বিষয় হলো— এক ডোজ টিকা অ্যানিমেল ট্রায়ালে কার্যকর এন্টিবডি পেয়েছি আমরা। আশা করছি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও একই রকম ফলাফল পাব। এটি +৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক মাস এবং -২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। সিনথেটিক্যালি তৈরি হওয়ায় এটি ভাইরাসমুক্ত এবং শতভাগ হালাল।
তিনি আরও বলেন, “আমরা যদি দ্রুততম সময়ে টিকাটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশবাসীর সেবায় বঙ্গভ্যাক্সকে উৎসর্গ করে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্ব-দরবারে আরও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।”